আগামী ১৩ আগস্ট (বুধবার) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা রাজধানীতে বড় ধরনের শিক্ষক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। তারা শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আবারও রাজপথে নামছেন। এবারের শিক্ষক সমাবেশে বড় জমায়েতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কেন আবার আন্দোলন-
২০১৮ সালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ২০ দিন অবস্থান ও অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের জন্য ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়। সে সময় সরকার শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতিও দেয়, কিন্তু পরবর্তীকালে তা বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার পতনের পর অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও পরবর্তী বাজেটে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেন তিনি। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সুস্পস্ট ঘোষণা সত্ত্বেও ২০২৫-২৬ অর্থবছর শুরু হলেও সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতার প্রজ্ঞাপন এখনো জারি করা হয়নি। এ অবস্থায় দাবি আদায়ে আবারও রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। ১৩ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে দাবি আদায়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে সমাবেশ থেকে।
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৩ আগস্ট গণসমাবেশ সফল করতে দেশের ৬৪ জেলা থেকেই বাস আসবে ঢাকায়। প্রত্যেক জেলা থেকে অন্তত একটি বাস কনফার্ম করতে হবে। এমনকি কোনো কোনো উপজেলা থেকে ৮-১০টি বাসের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ১৩ আগস্টের সমাবেশ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’
অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানিয়েছেন, সরকার যদি দাবি না মেনে নেয়, তাহলে ক্লাস বর্জনসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে ।
তিনি আরো জানান, জাতীয়করণের দাবি আদায়ের সমাবেশ সফল করতে প্রতিটি বিভাগে আটজন করে সমন্বয়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে আসা শিক্ষকদের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন।

সময়ের কণ্ঠস্বর অনলাইন ডেস্ক : 










