ঢাকা , সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম

১৮ দিন সাগরে ভেসে থাকার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন জেলেরা

  • আলা উদ্দিন
  • আপডেট সময় ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ২৮৯ বার পড়া হয়েছে
‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’ এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি। ‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’ এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।

মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম

১৮ দিন সাগরে ভেসে থাকার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন জেলেরা

আপডেট সময় ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’ এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি। ‘মাত্র ৪ বছর বয়সী ছেলে রেখে সাগরে গিয়েছিলাম। ছেলেটা আমার সারাদিন বাবা বাবা বলতেই থাকে। সাগরে চলে আসার শেষ মুহূর্তে কী কান্না! জড়িয়ে ধরে আর ছাড়তেই চায় না। অনেক কষ্টে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসব কথা দিয়ে সাগরে যাই। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে যখন ভাসছিলাম বারবার ছেলেটার কথা মনে পড়ছিল। বেঁচে ফেরার আশা যখন শেষ তখন কাঁদতাম আর আল্লাহর কাছে চাইতাম একবারের জন্য হলেও ছেলেকে দেখার সুযোগ করে দাও। একবার একটু বুকে জড়িয়ে ধরতে চাই। আল্লাহ আমার শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন।’ এভাবেই মুঠোফোনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা জেলে সালাহ উদ্দীন। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৮ দিন ধরে আরও ১৯ জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে ভেসেছেন তিনি।